সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন ২০২৪
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন সম্পর্কে জানতে চাইলে আমাদের আজকের এই ব্লকটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আজকের ব্লক বা আর্টিকেলে সৌদি আরবের কোম্পানিগুলোর ভিসা বেতন কত। সৌদি আরবে কাজের বিস্তারিত সকল কিছু আজকের ব্লক বা আর্টিকেলটি তে তুলে ধরা হবে। আপনি কি সৌদি আরবের কোম্পানিগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আজকে সৌদি আরবের কোম্পানিগুলোর বিস্তারিত সকল কিছু তুলে ধরা হবে।
soudi arabia visa compani salary |
সৌদি আরব মধ্যপ্রাচ্যের একটি রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের সকলের কাছে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। সৌদি আরব একটি মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত। বিভিন্ন দেশ থেকে সৌদি আরবে কাজ করার জন্য মানুষ সৌদি আরবে পাড়ি জমায়। আবার সৌদি আরবে অনেক কোম্পানি তাদের কাজের জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে লোকবল নিয়োগ করে থাকেন। সৌদি আরব দেশ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের সাথে থাকুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন ২০২৪
- সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা
- সৌদি আরব কোম্পানির ভিসার বেতন
- সৌদি আরব কোম্পানির ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া
- ভিসা আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- সৌদি আরব কোম্পানির ভিসা চেক
- সৌদি আরব কোম্পানির নাম
- সৌদি আরবের কোন কোম্পানির ভিসা ভালো
- সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি
- সৌদি আরবের কোন কাজের বেতন বেশি
- সৌদি আরব যেতে কত টাকা লাগে
- সৌদি আরব যেতে কত বছর বয়স প্রয়োজন
- লেখকের শেষ কথা
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা সম্পর্কে জানতে অনেকে আগ্রহ থাকে। কারণ আমার দেশে অনেক মানুষ রয়েছে যারা সৌদি আরব গিয়ে পরিশ্রম করে টাকা উপার্জন করতে চাই। কিন্তু সেই সম্পর্কে তাদের কোন ধারণা না থাকায় তারা সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারে না। আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন সৌদি আরবের কোম্পানি সম্পর্কে বিস্তারিত সকল কিছু। সৌদি আরবে অনেক রকম কোম্পানি রয়েছে যেগুলোতে মানুষ কাজ করে টাকা উপার্জন করতেছে। ওই কোম্পানিগুলো বিভিন্ন রকম কাজের জন্যও ভিসা চালু করে থাকেন।
আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয় কাজ ২০২৪
সৌদি আরব কোম্পানিগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় কিছু ভিসা যেমন, মেকানিক্যাল, লেবার, ড্রাইভিং, রেস্টুরেন্ট, ইলেকট্রিশিয়ান। বাংলাদেশ থেকে যারা সৌদি আরবে কাজ করতে যেতে চান। তাদের অবশ্যই ভালো একটি কোম্পানিতে ভালো কাজ করার জন্য যেতে হবে ।যেখানে কাজ করে আপনি প্রতিমাসে ভালো বেতন পাবেন অর্থাৎ ভাল কাজ করে ভালো টাকা উপার্জন করে দেশে পাঠাতে পারবেন। আপনি যদি নির্ধারণ করে থাকেন যে আপনি সৌদি আরবে গিয়ে কাজ করে অর্থ উপার্জন করবেন তাহলে অবশ্যই আপনার একটু খোঁজখবর নিতে হবে।
যে আপনার পরিচিত বা আত্মীয়স্বজনের মধ্যে কেউ সৌদি আরবে কাজ করে কিনা বা কোন কোম্পানিতে কর্মচারী হিসেবে রয়েছে কিনা। যদি থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার ভিসাটি ওই পরিচিত ব্যক্তিদের দ্বারা করে নেওয়া ভালো হবে। এতে করে আপনার ভিসা করতে খরচ কম লাগবে এবং ভালো কোম্পানিতে কাজ করার সুযোগ পাবেন। নতুবা যদি বাংলাদেশের কোন কোম্পানি বা এজেন্সির মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন করেন তাহলে আপনার ৪ থেকে ৬ লক্ষ টাকার মতো খরচ হবে।
সৌদি আরব কোম্পানির ভিসার বেতন
প্রতিটি মানুষ কোন কাজ শুরু করার আগে অবশ্যই তার কাজের মূল্য সম্পর্কে জানতে চাই। অর্থাৎ সেই ব্যক্তিকে দিয়ে কি মূল্যে কাজ করানো হবে কাজ শেষে কত টাকা দেওয়া হবে ইত্যাদি সকল বিষয়ে ওই ব্যক্তি জানতে চাই। তেমনি বাংলাদেশ থেকে কোন ব্যক্তি যদি সৌদি আরবের কোন কোম্পানিতে কাজ করতে যেতে চাই তাহলে সেই ব্যক্তি অবশ্যই ওই কোম্পানির ভিসার বেতন সম্পর্কে আগে জানতে চাইবে। সৌদি আরবে অনেক রকম কোম্পানি রয়েছে একক কোম্পানির ভিসার বেতন একক রকম। কাজের উপর নির্ধারণ করেও বেতন দেওয়া হয়।
আপনি যত ভালো কাজ করবেন যত পরিশ্রম করতে পারবেন আপনাকে তত বেশি বেতন দেওয়া হবে। কথায় রয়েছে অভিজ্ঞতার কোন মার নেই। আপনি যদি কাজ করতে করতে অনেক বেশি অভিজ্ঞ হয়ে যান তাহলে অবশ্যই যে কোন কোম্পানি আপনাকে বেশি বেতন দিতে ব্যধ থাকবেন। আপনি যদি নতুন অবস্থায় সৌদি আরবে কাজ করতে যেতে চান তাহলে আপনার নূন্যতম বেতন শুরু হবে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা আপনি কাজ করতে করতে অভিজ্ঞতা অর্জন করলে আপনি একসময় ৭০ থেকে ৮০ হাজার বা এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত বেতন পাবেন। অতএব বলা যায় আপনার সৌদি আরবে ভিসার বেতন গড় অনুপাতিক হিসাব করলে ৫০০০০ টাকা প্রতি মাসে ইনকাম করতে পারবেন।
সৌদি আরব কোম্পানির ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া
- নতুন ভিসাঃ ভিসার জন্য প্রথমবার যে আবেদন করা হয় তাকে নতুন ভিসা বলে। যারা কাজ করার জন্য প্রথমবার সৌদি আরব যেতে চাই তাদের নতুন ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়
- পুনর্নবীকরণ ভিসাঃ বাহিরের দেশে কাজরত অবস্থায় রয়েছে কিন্তু তাদের ভিসার মেয়াদ শেষের দিকে তাদের জন্য যে ভিসার আবেদন কইরা হয় তাকে পুনর্নবীকরণ ভিসা বলে। অর্থাৎ সৌদি আরবে যারা কাজ করতেছে তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তাদের ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করার জন্য পুনর্নবীকরণ ভিসা আবেদন করা হয়।
- ট্রানজিট ভিসাঃ অনেক মানুষ রয়েছে যারা স্বল্প সময়ের জন্য বিভিন্ন দেশে কাজ করতে যাই। তাদের এই ছোট কাজের জন্য যে ভিসার আবেদন করা হয় তাকে ট্রানজিট ভিসা বলে। সৌদি আরবে যারা অল্প সময়ের জন্য কাজ করতে যায় তারা ট্রানজিট ভিসার আবেদন করে ভি
- নিয়োগ কর্তার সাথে যোগাযোগঃ ভিসার আবেদন করার জন্য আপনাকে প্রথমত একজন নিয়োগ কর্তার সাথে যোগাযোগ করতে হবে। নিয়োগ কথা আপনাকে আবেদনের সকল প্রক্রিয়া সম্পর্কে পুরো দিকনির্দেশনা সরবরাহ করবে।
- ভিসা আবেদন ফরম সংগ্রহঃ কোন কোম্পানিতে ভিসার জন্য আবেদন করতে চাইলে অবশ্যই সেই কোম্পানির নির্দিষ্ট ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে এবং উক্ত ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে হবে।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহঃ সেই নিয়োগ কর্তা আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে সাহায্য করবে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহের মাধ্যমে আবেদন ফরম পূরণ করে আপনার নিয়োগকর্তার কাছে উক্ত ফর্মটি জমা দিতে হবে।
- ভিসার জন্য অবশ্যই ফিঃ ভিসার জন্য অবশ্যই ফি প্রদান করতে হয়। তাই আপনি যদি ভিসার জন্য আবেদন করেন তার জন্য অবশ্যই ফি জমা দিতে হবে।
- ভিসার জন্য অপেক্ষাঃ সকল কার্যক্রম প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে ভিসার জন্য আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। কারণ ভিসা অনুমোদন দিতে কিছু সময় লাগে। অনুমোদনের পর যে নিয়োগ কর্তার মাধ্যমে আপনি ভিসার জন্য আবেদন করেছেন সেই নিয়োগ কর্তার আপনাকে আপনার ভিসা পাঠিয়ে দিবেন।
ভিসা আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
প্রতিটি চাকরিতে আবেদনের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দরকার পড়ে। যা ঐ চাকরির জন্য বৈধতার প্রমান দেয়। কাজের জন্য অবশ্যই প্রতিটি মানুষকে নিজের পরিচয় পত্র প্রদান করতে হয়। তেমনি সৌদি আরবের কোম্পানি গুলোতে ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে বেশ কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন পড়ে এবং ওই কাগজপত্রর মাধ্যমে আপনাকে ভিসা দিয়ে থাকবে। কাগজপত্র উপর ভরসা করে আপনি সৌদি আরব কোম্পানির ভিসার বৈধতা পাবেন। ভিসার জন্য কি কি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দরকার তার নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ-
- বৈধ পাসপোর্টঃ ভিসার জন্য আবেদন এর ক্ষেত্রে অবশ্যই পাসপোর্ট বাধ্যতামূলক। পাসপোর্ট এর মেয়াদ হতে হবে অবশ্যই ভিসার মেয়াদ থেকে ন্যূনতম ৬ মাস বেশি এবং পাসপোর্টে ন্যূনতম দুটি ফাঁকা পৃষ্ঠা রাখতে হবে ভিসা স্টাম্পিংয়ের জন্য।
- কাজের অফারঃ চাকরি করতে যেমন বিজ্ঞপ্তি প্রয়োজন হয়। তেমনি সৌদি আরবে কোম্পানিতে কাজ করতে হলে অবশ্যই সৌদি আরবের কোন একটি কোম্পানি থেকে কাজের অফার পেতে হবে। কোম্পানি সেই অফারের ভিত্তিতে আপনাকে তার কোম্পানিতে নিয়োগ প্রদান করে থাকবে। এবং সেই নিয়োগপত্রে আপনার কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া থাকবে।
- পাসপোর্ট আকারের ছবিঃ চাকরির আবেদনের ক্ষেত্রে যেমন ছবি প্রয়োজন পরে তেমনি ভিসার আবেদনের জন্য ছবি প্রয়োজন। সৌদি আরবের কম্পানিতে ভিসার আবেদনের জন্য ২ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি দিতে হবে।
- শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ চাকরিতে আবেদনের ক্ষেত্রে অবশ্যই শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রমাণ দিতে হয়। তেমনি সৌদি কোম্পানিতে ভিসার আবেদনের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রমাণ স্বরূপ সত্যায়িত কপি গুলা জমা দিতে হয়।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটঃ চাকরি বা ভিসার জন্য অবশ্যই স্থানীয় থানে থেকে একটি চারিত্রিক সনদপত্র নিয়ে জমা দিতে হবে।
- স্বাস্থ্য পরিক্ষা রিপোর্টঃ প্রতিটি কোম্পানি চাই সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ তাদের কম্পানিতে কাজ করুক। তাই ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে মেডিকেল টেস্ট করতে হবে এবং টেস্টের সনদ জমা দিতে হবে।
- ভ্রমণ বিমাঃ ভ্রমণের সময় আপনাকে সাহায্য করবে এমন দেখে একটি ভ্রমণ বিমা করতে হবে।
সৌদি আরব কোম্পানির ভিসা চেক
কোন ব্যক্তি যদি সৌদি আরব কোম্পানিতে ভিসার জন্য আবেদন করে তাহলে অবশ্যই তাকে সেই ভিসা মাঝেমধ্যে চেক করতে হবে। কারণ বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণ দালাল ও কিছু দালালি এজেন্সি তৈরি হয়েছে। তাদের মাধ্যমে মানুষ প্রায় প্রতারিত হচ্ছেন। বর্তমানে বিভিন্ন দালাল বা এজেন্সিরা সঠিক ভিসা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকলেও বিভিন্ন সময় মানুষদের ঠকাইতেছে। আবার মানুষও তাদের কাছ থেকে প্রতারিত হচ্ছেই। তারা মাঝে মাঝে এমন কাজও করে যে ভিসা কনফার্ম হয় নাই কিন্তু তাদের বলতেছে আপনাদের ভিসা হয়ে গেছে।
বাংলাদেশের অনেক মানুষ এমন দালালও এজেন্সিতে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে প্রায় প্রতারিত হচ্ছে।দালাল বা এজেন্সি গুলো যখন বলতেছে আপনাদের ভিসা হয়ে গেছে তার উপর ভিত্তি করে তাদের ভুল বা মিথ্যা ভিসা দিয়ে সৌদিতে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে গিয়ে সেই মানুষগুলো বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখীন হন। একসময় তাদের ব্যর্থ হয়ে দেশে ফিরত আসতে হচ্ছে। তাই আপনাদের বিদেশ বা সৌদিতে যাওয়ার আগে অবশ্যই ভিসা চেক করে যাওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি চাইলে আপনার পাসপোর্ট নাম্বার দিয়েই নিজের ভিসা চেক করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ মোবাইলে ডাটা এন্ট্রি করে টাকা ইনকামের উপায়
সৌদি কোম্পানিতে যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনার ভিসা চেক করাটা উত্তম। আপনার ভিসা সঠিক হয়েছে কিনা, আপনি কোন কোম্পানিতে ভিসার জন্য আবেদন করছেন সেই কোম্পানির কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে অবশ্যই আপনাতা।ভিসা চেক করতে হবে। ভিসা চেক করতে তেমন কোন কষ্টের বিষয় না আপনার মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারের যেকোনো একটি ব্রাউজারে মাধ্যমে আপনি ভিসা চেক করতে পারবেন। ভিসা চেক করা ওয়েবসাইটও রয়েছে।
সৌদি আরব কোম্পানির নাম
বাংলাদেশের মানুষরা সৌদি আরবে কাজ করতে যাওয়ার আগে তারা সৌদি আরব কোম্পানিগুলোর সম্পর্কে বা তো কোম্পানির নাম গুলো জানতে চাই। আবেদন করার জন্য অনেকেই ভালো কোম্পানি তে ভিসার জন্য আবেদন করতে চাই। তাই তারা ভিসা আবেদন করার আগে সৌদি আরব কোম্পানির নামগুলো জানতে চাই। সৌদি আরবে অনেক রকম কোম্পানি রয়েছে। সব কোম্পানিতে এই কম বেশি কাজের জন্য আবেদন করা যায়। এর মধ্যে সৌদি আরবের স্বনামধন্য কিছু কোম্পানি রয়েছে তাদের নাম নিচে দেওয়া হল।
- আল খায়ের কোম্পানি
- আলবদল কোম্পানি
- আল মারাই কোম্পানি
- আলমার্ক কোম্পানি
- আল ইমামা কোম্পানি
- জুসুর ইমদাদ কোম্পানি
- বলদিয়া কোম্পানি
- পেপসি কোম্পানি
- ইনিশিয়াল কোম্পানি
- সাসকো কোম্পানি
- বিনলাদেন কোম্পানি
সৌদি আরবের কোন কোম্পানির ভিসা ভালো
সৌদি আরবে বিভিন্ন রকম কোম্পানি রয়েছে। আমার দেশ থেকে কোন ব্যক্তি যদি সৌদি আরবে কাজ করতে যেতে চাই তাহলে সে বিভিন্ন রকম কোম্পানির ভিসা পেতে পারে। সৌদি আরবের কম বেশি সকল কোম্পানি ভালো। তারা তাদের কর্মচারীদের ভালো বেতন দিয়ে থাকে। সৌদি আরবের কোন কোম্পানি সবচেয়ে বেশি ভালো তা নির্ধারণ করা কষ্টকর। তবে আমরা কিছু কোম্পানি সম্পর্কে জানি যে কোম্পানিগুলোতে ভালো ও বেশি বেতন প্রদান করে থাকে। এছাড়াও কাজে ঝুঁকি কম, উপার্জন বেশি এমন কিছু কোম্পানি হলেও।
- কোম্পানির ক্লিনার ভিসা।
- কোম্পানি আওতাধীন সুপার মার্কেট ভিসা।
- সৌদি কোম্পানি ভিসা।
- ড্রাইভিং ভিসা ।
- হোটেল ও রেস্টুরেন্ট ভিসা।
সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি
- ইলেকট্রিশিয়ান
- ড্রাইভিং
- অটোমোবাইল সার্ভিসিং
- প্লাম্বার
- কন্সট্রাকশন
- রেস্টুরেন্ট
- রংমিস্ত্রি
- সুপার মার্কেট
সৌদি আরবের কোন কাজের বেতন বেশি
সৌদি আরবের প্রতিটি কোম্পানি তে ভালো কাজের পাশাপাশি ভালো বেতন পাওয়ার সম্ভবনা
থাকে। প্রতিটি মানুষ চায় তার কাজের বিনিময়ে বেশি টাকা উপার্জন করতে। কিন্তু
মানুষ সৌদি আরবের কোন কাজের ভিসাতে আবেদন করবে বা কোন কাজের ভিসাতে বেতন বেশি এ
সম্পর্কে পুরো ধারণা থাকে না। সৌদি আরব কোম্পানিগুলোর কোন কাজের বেতন বেশি সে
সম্পর্কে জানতে পারবেন আজকের এই ব্লকটি থেকে।
- ইলেকট্রিশিয়ানের বেতন ১৩৫০ থেকে ১৫০০ রিয়াল। যা বাংলাদেশি টাকায় ৪৩০০০ থেকে ৪৮০০০ টাকা।
- কোম্পানি ভিসা ২০০০ থেকে ৩০০০ রিয়াল। যা বাংলাদেশি টাকায় ৬৪০০০ থেকে ৬৭০০০ টাকা।
- কন্সট্রাকশন শ্রমিক ১২০০ থেকে ১৫০০ রিয়াল। যা বাংলাদেশি টাকায় ৩৮০০০ থেকে ৪৮০০০ টাকা।
- অটোমোবাইল সার্ভিসিং ১৫০০ থেকে ১৮০০ রিয়াল। যা বাংলাদেশি টাকায় ৪৮০০০ থেকে ৫৭০০০ টাকা।
- টেকনিশিয়ান ১৩০০ থেকে ১৮০০ রিয়াল। যা বাংলাদেশি টাকায় ৪২০০০ থেকে ৫৭০০০ টাকা।
- প্লাম্বার ১৫০০ থেকে ২০০০ রিয়াল। যা বাংলাদেশি টাকায় ৪৮০০০ থেকে ৬৪০০০ টাকা।
- ফ্যাক্টরির শ্রমিক ১৫০০ থেকে ২০০০ রিয়াল। যা বাংলাদেশি টাকায় ৪৮০০০ থেকে ৬৪০০০ টাকা।
- ওয়েল্ডিং শ্রমিক ১২০০ থেকে ১৬০০ রিয়াল। যা বাংলাদেশি টাকায় ৩৮০০০ থেকে ৫০০০০ টাকা।
- গৃহকর্মী ১০০০ থেকে ১৫০০ রিয়াল। যা বাংলাদেশি টাকায় ৩২০০০ থেকে ৪৮০০০ টাকা।
সৌদি আরব যেতে কত টাকা লাগে
সৌদি আরবে কোন কোম্পানিতে কাজের জন্য যেতে চাইলে আপনাকে মোটা অংকের টাকা সংগ্রহ করতে হবে। বর্তমানে সৌদি আরবে যেতে চাইলে মোটা টাকার প্রয়োজন। বর্তমানে যদি কাজের জন্য সৌদি আরবে যেতে চান তাহলে আপনার ৩ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মত সংগ্রহ করতে হবে বা থাকতে হবে। সৌদি আরবে কাজের জন্য যেতে চাইলে তা পুরোটা নির্ভর করবে আপনার ভিসার ধরন মেয়াদ ও কাজের উপর। সৌদি আরবে কাজের ভিসার মূল্য খুব একটা বেশি না সর্বোচ্চ ৫০ থেকে ৬০ হাজার পর্যন্ত।
বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন রকম দালাল এজেন্সির মাধ্যমে যদি ভিসা লাগাতে চান, তাহলে আপনাকে ১ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ পর্যন্ত খরচ করতে হবে। এছাড়াও আরো খরচ রয়েছে যেমন সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য অবশ্য এই মেডিকেল পরীক্ষা করতে হবে, ভ্যাকসিন নিতে হবে, বিমানের, বিএমইটি ইত্যাদি খরচ মেরে ৪ লক্ষ থেকে ৪.৫ লক্ষ টাকা অব্দি খরচ হয়ে যায়। বর্তমানে সৌদি আরবের কোন কোম্পানি ভিসা সংগ্রহ করতে চাইলে তাকে ১৫০০ থেকে সর্বোচ্চ ২৫০০ রিয়াল খরচ করতে হবে। তবে দালাল বা বিভিন্ন এজেন্ট দ্বারা ভিসা সংগ্রহ করতে চাইলে ৭ হাজার রিয়াল থেকে ১০ হাজার রিয়াল অব্দি দামে বিক্রয় করে থাকে। বর্তমান বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবের বিভিন্নভাবে যাওয়া যায়।
সৌদি আরব যেতে কত বছর বয়স প্রয়োজন
প্রতিটি চাকরি বা কাজের জন্য বয়সের অনেক ব্যাপার রয়েছে। আপনি যদি প্রাপ্ত বয়স্ক না হন তাহলে আপনাকে কিছু কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। তেমনি আপনি যদি সৌদি আরবের কোন কোম্পানিতে কাজ করতে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে নির্দিষ্ট একটি বয়সে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। আমার দেশে অনেক মানুষ অল্প বয়সেই সৌদি আরবে যেতে চাই কিন্তু বয়স কমের কারণে তারা সৌদি আরবের কোম্পানিগুলোতে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেনা।
তাই সৌদি আরবে যেতে চাইলে অবশ্যই প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে। সৌদি আরবের ভিসার জন্য আবেদন করতে চাইলে আপনাকে সর্বনিম্ন ২১ বছর বয়সে পদার্পণ করতে হবে। অর্থাৎ বাংলাদেশ জাতীয় পরিচয় পত্র বা পাসপোর্টে ২১ বছর বয়স হইলেই আপনি সৌদি আরবের কোম্পানিতে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তারপর ভিসা লেগে গেলে ভিসার সময় অনুযায়ী আপনি সৌদি আরব কোম্পানিতে কাজের জন্য যেতে পারবেন।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে আপনারা জানতে পেরেছেন সৌদি আরব কোম্পানির ভিসা সম্পর্কে। কোম্পানিগুলোর নাম সম্পর্কে। সৌদি আরবের কাজ সম্পর্কে। সৌদি আরব যেতে কত টাকা লাগে। সৌদি আরবে কাজের বেতন কত। বয়স কত লাগে, কি কি কাগজপত্র লাগে সকল বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আজকের এই ব্লক পোস্টটিতে।
আশা করি আপনারা আমাদের পোস্টটি ভালো করে পড়েছেন। আমাদের ব্লগটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনি কমেন্ট করে জানাবেন। আপনাদের বন্ধুদের আমাদের এই পোস্টটি শেয়ার দিয়ে আমাদের পাশে থাকবে্ন। আরো নতুন নতুন পোস্ট সম্পর্কে জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url