শরীর জ্বালাপোড়া করার কারণ ও প্রতিকার ২০২৪

 

শরীর জ্বালাপোড়া করার কারণে বিভিন্ন রকম সমস্যার সৃষ্টি হয়। শরীর জ্বালাপোড়া করার কারণে অনেকের রাতে ঘুমাতে কষ্ট হয় শরীর জ্বালাপোড়া করার কারণে রাতে ঠিকমতো ঘুম হয় না শরীর বিভিন্ন কারণে জ্বালাপোড়া করতে পারে স্নায়ুজনিত রোগের সমস্যা অথবা ডায়াবেটিস রোগের সমস্যা থাকলে শরীর জ্বালাপোড়া করে তার ওই শরীর জ্বালাপোড়া কারণে অবশ্যই এর প্রতিকার নিতে হবে

শরীর জ্বালাপোড়া করার কারণ ও প্রতিকার


আজকের আর্টিকেলে আমরা শরীর জ্বালাপোড়ার কারণ ও শরীর জ্বালাপোড়ার কারণের প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আলোচ্য বিষয়টিতে শরীর জ্বালাপোড়া করার কারণ ও প্রতিকার  করার ব্লগটিতে আপনারা জানতে পারবেন হাত-পা জ্বালাপোড়ার কারণসমূহ ও এর জন্য কি প্রতিকার দরকার সে সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে এই আর্টিকেলে।

সূচিপত্রঃ শরীর জ্বালাপোড়া করার কারণ ও প্রতিকার ২০২৪

শরীর জ্বালাপোড়া করার কারণ 

শরীর বিভিন্ন কারণে জ্বালাপোড়া করতে পারে। সেই শরীর জ্বালাপোড়ি করার প্রতিকারও অবশ্যই রয়েছে। আমরা কোন রোগের প্রতিকার করতে গেলে অবশ্যই সে রোগের বিষয়ে বিস্তারিত আগে জানার চেষ্টা করব। এবং কি কারণে সেই রোগটি হয়েছে তা খুঁজে বের করতে চেষ্টা করব। অবশ্যই কোন রোগের চিকিৎসা করতে হলে আমাদের উচিত সেই রোগের কারণগুলো জেনে উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। তেমনি শরীরের জ্বালাপোড়া করার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে আমাদের সেই কারণগুলি বিস্তারিত জেনে তারপর চিকিৎসা করতে হবে।

কোন ব্যক্তির যদি ডায়াবেটিস অথবা স্নায়ুজনিত রোগ থেকে থাকে তাহলে উক্ত ব্যক্তির শরীর জ্বালাপোড়া করতে পারে। এগুলো ছাড়াও একটি সুস্থ ব্যক্তির বিভিন্ন সমস্যা জনিত কারণে শরীর জ্বালাপোড়া করতে পারে। একজন ব্যক্তির শরীর জ্বালাপোড়া করার অন্যতম একটি কারণ তাহলে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবন করা. কারণ প্রতিটি ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তাই বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবন করার ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় যার কারণে শরীর জ্বালাপোড়া করতে থাকে।

মানুষের চলাফেরার সময় বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করা প্রয়োজন পড়ে। সেই ক্ষেত্রে প্রতিটি মানুষ বিভিন্ন ধরনের ঔষধ সেবন করে থাকেন। এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা অ্যান্টিবায়োটিকের মত ঔষধ সেবন করেন। সে ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। আবার শরীরে যদি ভিটামিনের কমতি দেখা দেয় সে ক্ষেত্রে শরীর জ্বালাপোড়া করতে পারে। ডায়াবেটিস শরীর জ্বালাপোড়া করার অন্যতম একটি রোগ। দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস রোগে পড়ে থাকলে সেই ডাইবেটিস রোগের কারণে শরীর জ্বালাপোড়া করে। 

ডায়াবেটিসের একটি খুবই সাধারণ ঔষধ রয়েছে। যা দীর্ঘদিন যাবত সেবন করার ফলে শরীরে ভিটামিনের ঘাঁটি দেখা দেয়। অর্থাৎ ডায়াবেটিসের ওষুধ মেটফরমিন দীর্ঘদিন যাবত সেবন করলে শরীরে ভিটামিন বি ১২ এর অভাব দেখা দেয়। যার ফলে শরীর মারাত্মক ভাবে জ্বালাপোড়া করে। কোন ব্যক্তির শরীরে যদি ভিটামিন বি এর অভাব দেখা দেয় তাহলে সেই ব্যক্তি শরীর বিভিন্ন সময় জ্বালাপোড়া করতে পারে। এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে ভিটামিনের অভাব পূরণ করতে হবে।  

শরীর জ্বালাপোড়া করার কারণ ও প্রতিকার হিসেবে আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ভিটামিন যুক্ত খাবার যুক্ত করতে হবে। আপনার শরীর যদি অতিরিক্ত পরিমাণ জ্বালাপোড়া করে তাহলে অবশ্যই একজন ভালো অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে। এবং তার কাছ থেকেই ভিটামিনযুক্ত খাবার তালিকা তৈরি করে নিতে হবে

আরো পড়ুনঃ ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা

যক্ষা রোগের কারণে ও শরীর জ্বালাপোড়া করতে পারে যক্ষা রোগের কারণে যক্ষা রোগের ওষুধ সেবন করতে হয় তাই শরীরে নিউরো পাতি হওয়ার সমস্যা দেখা দেয় এই পোস্টটিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আগেই পাইরে ট ইন দেওয়া হয় যার ফলে শরীর জ্বালাপোড়া করে

শরীর জ্বালাপোড়া করার কারণ 

শরীরের হাত পা জ্বালাপোড়া করার বিভিন্ন রকম সমস্যা থাকে। সেই সমস্যাগুলো সম্পর্কে সবার ধারণা থাকা উচিত। কারণ যদি কোন এক সময় মানুষ এ ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়ে তাহলে আজকের এই তথ্যগুলো মানুষদের প্রয়োজনে আসবে। মানুষের হাত-পা জ্বালাপোড়া করার কারণ হিসেবে থাকতে পারে বিভিন্ন রকমের লোকও রোগ। মানুষের শরীরে কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর জ্বালাপোড়া করে সে সকল বিষয়ে আমাদের সঠিকভাবে জ্ঞান অর্জন করতে হবে এবং সেই সম্পর্কে জানতে হবে।

কোন মানুষের যদি স্নায়ুজনিত রোগ হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম অতিরিক্ত মাত্রার ঔষধ সেবন করে যার ফলে শরীরে বিভিন্ন রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। স্নায়ুজনিত রোগের কারণে অতিরিক্ত মাত্রার ঔষধ সেবন না করে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা করা যেতে পারে। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা করলে কিভাবে রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় সে সকল বিষয়ে আমাদের মানবজাতির জানা খুবই জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ। যেসব মানুষের হজমের সমস্যা থাকে তাদের জন্য সকল ধরনের ভিটামিনের ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়।

মানুষ যখন খাবারের মাধ্যমে ভিটামিন গ্রহণ করে তখন হজম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানব শরীরে ভিটামিনের উপাদানগুলি শোষিত হয়। মানব শরীরে জন্য সঠিকভাবে বিপাক প্রক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি বিষয় মানব শরীরে যদি ভাইরাসজনিত কারণে ফুসকুড়ি দেখা যায় সে ক্ষেত্রে মানুষের শরীর জ্বালাপোড়া করতে পারে।শরীর থেকে ফুসকুড়ি গুলো ভালো হওয়ার পরেও আপনা। যেসব স্থানে চুলকানি ও ব্যথা অনুভব হয় তাহলে এর থেকে জ্বালাপোড়া করার মত সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

এ পর্যায়ে যদি শরীর জ্বালাপোড়া করা শুরু করে তাহলে এই জ্বালাপোড়া কিছুদিন যাবত দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে বা হতে পারে। মানুষের শরীর জ্বালাপোড়া কারণ সম্পর্কে জানতে গেলে চিন্তা কোন বিষয় নেই। এই ধরনের সমস্যা মানুষের হাত-পা-পিঠ ও পেট শরীরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দেখা যায়। অনেক মানুষের  এলার্জি জাতীয় কারণে চুলকানি বা হাত-পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থান জ্বালাপোড়া করতে পারে।

শরীর জ্বালাপোড়া করার প্রতিকারের জন্য অবশ্যই সঠিক সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে কোন মানুষের যদি সমস্যা দেখা দেয় যেমন রিউমাটয়েড আর্থাইটিস হয়ে থাকে তাহলে শরীর জ্বালাপোড়া ও নিউরোপ্যাথির মত সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে। অর্থাৎ শরীর জ্বালাপোড়া করার অনেক রকম সমস্যা আছে বিভিন্ন কারণে শরীর জ্বালাপোড়া করতে পারে। তাই মানুষের উচিত এর প্রতিকার সম্পর্কে জেনে থাকা।

শরীর জ্বালাপোড়া করার কারণ ও প্রতিকার 

মানুষের শরীর জ্বালাপোড়ার কারণ হিসেবে দায়ী করা হয় ডাইবেটিস ও স্নায়ুতন্ত্র রোগকে। এগুলো ছাড়াও মানুষের শরীর জ্বালাপোড়া করার আরো কিছু সমস্যা থাকতে পারে। শরীর জ্বালাপোড়া করার আরো একটি সমস্যা হতে পারে তা হল হরমোনের ঘাটতি। ওয়েস্টোজেন হরমোনের ঘাটতির কারণে মানুষের শরীর জ্বালাপোড়া করতে পারে। আবহওয়া ও তাপমাত্রা পরিবর্তন ঘটলে মানুষের শরীর উক্ত তাপমাত্রার সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। কিন্তু মানুষের শরীরে যখন ওয়েস্টোজেন হরমোনের ঘাটতির ও তৈরিকৃত সমস্যার জন্য মানুষের শরীর জ্বালাপোড়া করতে থাকে। 

আরো পড়ুনঃ কচু শাক খাওয়ার উপকারিতা

এই হরমোন কমে যাওয়ায় মানুষের দেহ তাপমাত্রা রোধের বিষয়টি হারিয়ে ফেলে বা নিয়ন্ত্রণ করার পদ্ধতিটি অনেক কমে যায়। কোন মানুষের শরীর যখন জ্বালাপোড়া করে তখন মানুষের ব্রেনে এক ধরনের সিগন্যাল পাঠানো হয়। যে সেই মানুষের শরীর জ্বালাপোড়া করছে অথবা অতীত অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে গরম অনুভুতি সৃষ্টি হচ্ছে। এই বিষয়গুলো ছাড়াও আরো বিভিন্ন সমস্যার কারণে মানুষের শরীর জ্বালাপোড়া করে। কি কি কারণে মানুষের শরীর জ্বালাপোড়া করে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো।

  • যদি কোন মানুষের দেহে কিডনি ও থাইরেড রোগ জনিত সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে শরীর জ্বালাপোড়া করে।

  • মানুষের শরীরে যদি ভিতামিনের ঘাতটি দেখা দেয়, বিশেষ করে যদি কোন দেহে ভিটামিন বি১২ এর ঘাতটি দেখা যায় তাহলে শরীরের বিশেষ কিছু অঙ্গ জ্বালাপোড়া করবে।

  • মানুষের শরীরে যদি রিউমাটয়েড এর মতো রোগ দেখা যায় তাহলে শরীর জ্বালাপোড়া করবে।

  • বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় একটি রোগ ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিস ঠিক মতো নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে শরীর জ্বালাপোড়া করে। 

  • যক্ষা রোগ ভালো করার জন্যে আইসোনিয়াজিড, হৃদরোগ জন্য অ্যামিওড্যারন ও কেমোথেরাপি এর জন্য শরীর জ্বালাপোড়া করে।

  • কোন মানুষের যদি রক্তনালি ব্লক হয়ে থাকে বা ভিতামিনের অভাবে যদি শরীরের রক্ত চলাচল সঠিকভাবে না হয়ে থাকে তাহলে শরীর জ্বালাপোড়া করে।

শরীর জ্বালাপোড়া করার আরো একটি বিশেষ সমস্যা রয়েছে তা হলো মদ্যপান বা নেশা দ্রব্য সেবনের মাধ্যমে মাদকাসক্ত হলে শরীর মৃত্যুর দিকে ঠেলে পরে। মাদকদ্রব্য সেবনের জন্য বিভিন্ন সময় শরীর ও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ জ্বালাপোড়া করতে থাকে। শরীর জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি পেতে চাইলে মাদকদ্রব্য থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। কোনরকম মদ্যপান বা নেশা জাতীয়ও দ্রব্য সেবন করা যাবে না। শরীর জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রতিকার হিসেবে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি রয়েছে যা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরী।

একজন মানুষের উচিত প্রতিদিন তিন থেকে চার লিটার পানি পান করা। খাদ্য তালিকা পরিবর্তন করা অত্যন্ত জরুরী। যদি এমন প্রশ্ন করা হয় শরীর জ্বালাপোড়া করে কেন? তাহলে উত্তরে অবশ্যই আসবে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার জন্য এটি একটি কারণ হিসেবে উল্লেখিত হতে পারে। আর বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাদ্য খাওয়ার মাধ্যমে মানুষের শরীরের বিভিন্নভাবে রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়তে পারে। বাইরের ক্ষতিকারক পরিবেশ বা ক্ষতিকারক খাবার এর জন্য মানুষের শরীর বিভিন্ন রকম রোগ দেখা যায়।

যে ভিটামিনের অভাবে শরীর জ্বালাপোড়া করে

শরীর জ্বালাপোড়া করার কারণ ও প্রতিকার হিসেবে আরো কিছু বিষয় রয়েছে তা হলো কোন কোন ভিটামিনের অভাবে শরীরে জ্বালাপোড়ার রোগ হতে পারে। এবং শরীর জ্বালাপোড়ার প্রতিকার হিসেবে কোন কোন ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করতে হবে সে সকল বিষয়  বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। শরীর জ্বালাপোড়া করার অন্যতম একটি কারণ সেটি হল ভিটামিনের অভাব। মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ভিটামিন। শরীরে ভিটামিনের অভাব দেখা দিলে বিভিন্ন রকম রোগও দেখা দেয়। 

ভিটামিনের ঘাটতি হলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার পাশাপাশি শরীরে বিভিন্ন রকম সমস্যাও দেখা যায়। এই সমস্যাগুলোর জন্য শরীরে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে মারাত্মকভাবে জ্বালাপোড়া করতে থাকে। শরীরের জ্বালাপোড়া যদি অধিক পরিমাণ হয়ে যায় সেক্ষেত্রে অবশ্যই সেই রোগীকে একজন ভালো বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। সাধারণত ৫০ বছর বয়সের উর্ধ্বে ব্যক্তিদের বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে শরীর জ্বালাপোড়া করার সমস্যা বেশি দেখা যায়। 

মানুষের শরীরে ভিটামিন এবং বিভিন্ন রকম খনিজ উপাদানের অভাবের কারণে মূলত মানব শরীর জ্বালাপোড়া করে। একসময় দেখা যায় এ জ্বালাপোড়ার পরিমাণ অতিরিক্ত হয়ে শরীর খুব দুর্বল হয়ে পড়ে এবং জ্বালাপোড়া অতিরিক্ত পরিমাণ হতে থাকে। এমতাবস্থায় সেই রোগী কে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের প্রমোশন নেওয়া উচিত তাকে অবশ্যই খুব অল্প সময়ের মধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি করানো উচিত

ভিটামিন বিঃ 

বিশেষজ্ঞদের মতে ভিটামিন বি এর ঘাটতির কারণে "বেরিবেরি" রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই "বেরিবেরি" রোগ হওয়ার কারণে শরীরের বিশেষ কিছু অঙ্গ যেমন হাত ও পায়ের তালু প্রচুর পরিমাণে জ্বালাপোড়া করতে থাকে। তাই শরীরে ভিটামিন বি এর ঘাটতি পূরণ করতে হবে। শরীরে ভিটামিন বি এর অভাব পূরণ করতে ভিটামিন বি যুক্ত খাবার খেতে হবে যাতে শরীরে ভিটামিন বি এর অভাব পূরণ হয়।

ভিটামিন বি৩ঃ

শরীরে প্রত্যেকটি ভিটামিনের প্রয়োজনীয়তা গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন বি৩ বা নায়াসিনের ঘাটতি জনিত কারণে "পেলেগ্রো" নামক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ রোগের লক্ষণগুলির মধ্যে হাত-পা জ্বালাপোড়া সহ ডায়ারিয়া ও মাসিক বিভ্রান্তি তৈরি হওয়া এবং ত্বকে লাল ভাব তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ভিটামিন বি ১২ঃ

বিজ্ঞানের বিভিন্ন গবেষণা দেখা গেছে যে চিকিৎসা ক্ষেত্রে শরীরে ভিটামিন বি১২ এর ঘাটতি দেখা দিলে "পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথিক" অবস্থা তৈরি হয়। যার জন্য শরীর ও হাত-পাড় জ্বালাপোড়া করার মত সমস্যা দেখা দেয়। শরীরে ভিটামিন বি১২ এর অভাবে শরীরের জ্বালাপোড়া করে এর কারণ ও প্রতিকার হিসেবে ঘরও ভাবে  প্রাথমিক চিকিৎসা করতে হবে তাহলে সরে জ্বালাপোড়া কমে যাবে। ভিটামিন বি১২ যুক্ত খাবার খেতে হবে।

ভিটামিন বি৬ঃ

প্রতিটি মানুষের শরীরে সঠিক পরিমাণ ভিটামিন থাকা অত্যন্ত জরুরি। ভিটামিনের অভাবে শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই দেখা দেয়। তেমনি ভিটামিন বি৬ এর ঘাটতি জনিত কারণে মানব শরীরে "পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথিক" নামক স্নায়ুতন্ত্রের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই রোগের সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে হাত-পায়ে জ্বালাপোড়া করা। অবশতা, ব্যথা, সুই ঝিনঝিনানি এবং শরীরকে বিভিন্ন ভাবে দুর্বল করে রাখে।

ভিটামিন সিঃ

অতি সাধারণ ও পুষ্টিযুক্ত ভিটামিন এর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ ভিটামিন হলো ভিটামিন সি। ভিটামিন সি এর সাথে মানুষ কম বেশি সকলেই পরিচিত। টক জাতীয় ফল যেমন লেবু,কমলা,আঙ্গুর,আপেল ইত্যাদি ফলের ভিটামিন সি রয়েছে। ভিটামিন সি যুক্ত ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এন্টিঅক্সাইডেন্ট যা মানুষের শরীরের ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং প্রাণবন্ত করে তোলে। ভিটামিন সি এর অভাবে বিশেষ করে ত্বক মুখমন্ডল এবং হাতপায়ের তালু জ্বালাপোড়া করতে পারে। তাই শরীরের ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ করতে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেতে হবে।

ভিটামিন ডি ঃ

প্রত্যেকটা মানুষের শরীরে ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন রয়েছে। ক্যালসিয়াম কমে গেলে শরীরে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা যায়। ভিটামিন ডি মানব  শরীরে ক্যালসিয়াম অভাব পূরণ করে। যদি কোন কারনে ভিটামিন ডি এর অভাব পড়ে যায় সেই অভাবের ফলে  অস্টিওম্যালাসিয়া রোগ দেখা দেয়। যার জন্য শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ পতঙ্গ ও হাত পা জ্বালাপোড়া করে। তাই শরীরে ক্যালসিয়াম ধরে রাখতে ও ক্যালসিয়াম এর অভাব পূরণ করতে ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খেতে হবে।

ভিটামিন ইঃ

অন্যান্য ভিটামিনের মত ভিটামিন ই এর কারণেও শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। শরীরের অন্যতম একটি উপাদান হলো ভিটামিন ই। ভিটামিন ই এর ঘাটতির কারণে "স্পাইনাল মাস্কুলার অয়াট্রোফি" নামক স্থানেরতন্ত্রের রোগ তৈরি হয়। আর এই সমস্যা আর কারণে শরীরের বিশেষ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হাত পা জ্বালাপোড়া করে। হাতের পেশি ব্যথা করে। পায়ের হাঁটু ব্যথা করে এবং হাঁটতে অসুবিধা হয়। তাই শরীর ভিটামিন ই এর অভাব পূরণ করতে ভিটামিন ই যুক্ত খাবার খেতে হবে।

শরীর জ্বালাপোড়া করার কারণ হিসেবে শুধুমাত্র ভিটামিনের অভাব বা ঘাটতি এর কারণে শরীর জ্বালাপোড়া করে বিষয়টা এমন না। মানুব শরীর বিভিন্ন কারণে বা বিভিন্ন সমস্যার জন্য জ্বালাপোড়া করতে পারে। অতিরিক্ত পরিমাণ শরীর জ্বালাপোড়া করলে অবশ্যই একজন ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। তাহলে বিষয়টি খোলামেলা ভাবে জানতে পারবেন। যে কেন আপনার শরীর জ্বালাপোড়া করে। তারপরও জ্বালাপোড়া করার প্রাথমিক কিছু চিকিৎসা ও প্রতিকার নিচে তুলে ধরা হলো।

শরীর জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তির উপায়

মানুষের শরীর বেশিভাগ জ্বালাপোড়া করে কোন জায়গায় স্থীর হয়ে বসলে বা রাতে ঘুমানোর সময় বেশি জ্বালাপোড়া করে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় অসময় মানব শরীর জ্বালাপোড়া করতে পারে। আসলে জ্বালাপোড়া করার কোন নির্দিষ্ট সময় নাই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে মানুষের শরীর জ্বালাপোড়া করতে পারে। আর এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিজেকে অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কিছু দিক নির্দেশনা নিচে দেওয়া হল। কিছু প্রাথমিক কার্যক্রম যা প্রতিদিন করলে শরীর জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

  • মানুষের শরীর বেশিভাগ সময় জ্বালাপোড়া করে কোন জায়গায় স্থীর হয়ে বসলে বা রাতে ঘুমানোর সময়। তাই নিজেকে সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে। ঘুমানোর আগে ভালো ভাবে গোসল করতে হবে।
  • গোসল করার জন্যে অবশ্যই ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করে গোসল করতে হবে। এতে শরীর ঠান্ডা হয়ে যাবে। 
  • গোসল সম্পন্ন হয়ে গেলে পুরো শরীর ভালো করে অলিভ অয়েল জাতীয় তেল ব্যবহার করতে হবে এতে কুরে শরীরের চামরা ভালো থাকে ও শরীর জ্বালাপোড়া কম হয়।
  • শরীরের প্রতি যত্ন রাখতে হবে ও শরীরে কোনরকম ময়লা রাখা যাবে না। কোন রকম ময়লা যাতে না হয়ে থাকে তা খেয়াল রাখতে হবে। শরীর অপরিষ্কার ও ড্রাই হয়ে থাকলে শরীর জ্বালাপোড়া হওয়ার পাশাপাশি চুলকানি হওয়ার মত সমস্যা হয়ে থাকে।
  • মানব শরীর জ্বালাপোড়া কমানোর জন্য বিভিন্ন রকম মশ্চারাইজ ব্যবহার করা যায়। বিভিন্ন রকম লোশন ব্যবহার করা ভালো। কারণ বিভিন্ন রকম মশ্চারাইজ ও লোশন মানব শরীর অনেকটা ভালো রাখে ও জ্বালাপোড়া কমানোর মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
  • শরীরের জন্য অবশ্যই দরকার স্বাস্থ্য আর খাবার। একজন মানুষকে সুস্বাস্থ্য রাখে স্বাস্থ্যকর খাবার। তাই শরীরের জন্য অবশ্যই ভিটামিনযুক্ত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন।
  • শরীর ভালো রাখতে অবশ্যই পানির প্রয়োজন। পানির অপর নাম জীবন। তাই দৈনিক তিন থেকে চার লিটার পানি অবশ্যই পান করা দরকার। বেশি বেশি পানি পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখার পাশাপাশি শরীর জ্বালাপোড়াও থেকে মুক্তি পাবেন।

আরো অতিরিক্ত কিছু ঘোরাও প্রাথমিক চিকিৎসা নিচে দেওয়া হলো

ঠান্ডা সেকঃ পরিষ্কার একটি কাপড় ভালো করে ঠান্ডা পানিতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রেখে আক্রান্ত স্থানে  শরীরে বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গে যেখানে চুলকানি বা জ্বালাপোড়া করতেছে সেখানে রাখুন। এবং দেখবেন আস্তে আস্তে ব্যথা ও প্রদাহ কমে আরাম অবস্থায় আসতে সাহায্য করবে।

অ্যালোভেরাঃ অনেক পুষ্টিগুণ একটি জেল অ্যালোভেরা জেল। যা শরীরের প্রদাহ কমানো শক্তি এবং বিভিন্ন রকম ব্যাথা নাশক সমস্যা রয়েছে যার ফলে শরীর জ্বালাপোড়া করে সেগুলো থেকে মুক্তি দিতে এলোভেরা জেল অনেক ভূমিকা রাখে।

নারকেল তেলঃ  অতি সাধারণ একটি তেল নারকেল তেল। যা আমাদের সকলের ঘরে এবং হাতের কাছে পাওয়া যায় এমন একটি তেল নারকেল তেল। নারকেল তেল ময়েশ্চারাইজ করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে পাশাপাশি শরীরের জ্বালাপোড়াও কমাতে নারকেল তেল সাহায্য করে।

হলুদঃ হলুদঃ  একটি অ্যান্টিসেপটিক ঔষধ হিসেবে বহুকাল ধরে ব্যবহার হয়ে আসতেছে। হলুদের রোগ প্রতিরোধ বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শরীর জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। কাঁচা হলুদের তৈরি পেস্ট শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের বা আক্রান্ত স্থানে লাগালে দেখবেন খুব অল্প সময়ের মধ্যে সেখানে জ্বালাপোড়া বন্ধ হয়ে গেছে।

চা পাতাঃ  চা পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এন্টিঅক্সিডেন্ট। শরীরের জ্বালাপোড়া নিরাময়ের জন্য চা পাতা অনেক ভূমিকা রাখে। শরীর আক্রান্ত স্থানে ঠান্ডা করার চা পাতা লাগালে অনেক আরাম বোধ করা যায় এবং জ্বালাপোড়া কমে যায়।

শরীর জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তির ঔষধ

  • MIOTROL(2.5mg)

  • NOMI(2.5mg)

  • NOMITEN(2.5mg)

  • ZOLMIT(2.5mg)

  • ZOMITAN(2.5mg)

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠকগন আমরা ইতি মধ্যে শরীরের জ্বালাপোড়া নিয়ে অনেক কিছু জেনেছি। শরীর জ্বালাপোড়া করার কারণ প্রতিকার সম্পর্কে জেনেছি। আশা করি শরীর জ্বালাপোড়া করার প্রতিকার গুলা ভালো ভাবে আয়ত্ত করতে পারছেন। ভালো ধারনে নিতে পারছেন। যদি ভবিষ্যতে আপনারা কেউ শরীর জ্বালাপোড়া করার অসুখে পরেন তাহলে আমাদের আর্টিকেল থাকে ধারনা নিতে পারেন। শরীর অতিরিক্ত পরিমাণ জ্বালাপোড়া করলে অবশ্যই ভালো ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন। আজকের আর্টিকেল ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url