ইসবগুলের ভুসি ও তোকমা খাওয়ার নিয়ম।
- ইসবগুলের ভূসি যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে তেমনি পেট বেথাও দূর করে।
- গরমের সময় যদি প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া হয় তাহলে ইসবগুলের ভূসি খেলে প্রস্রাবের দূর হয়।
- গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা প্রায় সবার আছে ইসবগুলের ভূসি পানি দিয়ে পান করলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমে যায়।
- ইসবগুলের ভূসি পান করলে ডাইরিয়া কমে যায়।
- হার্ট নিয়ন্ত্রণে রাখে
- ডায়াবেটিস ভালো রাখে।
শরীরে ওজন কমাতে ইসবগুলের ভূসি খাওয়ার নিয়ম
আপনি যদি আপনার শরীরের ওজন কমাতে চান তাহলে খুব অল্প গরম পানির সাথে ২ চা-চামচ ইসবগুলের ভূসি ও ১ চা-চামচ কাঁচা লেবুর রস মিশিয়ে খাবার ৩০ মিনিট আগে পান করে নিবেন। আবার সকালে ঘুম থেকে উঠার পরও খেতে পারেন। এতে করে আপনার শরীরের ওজন হ্রাস পাবে। শরীর থেকে চর্বি কমাতে চাইলে খুব অল্প গরম পানির সাথে ২ চা-চামচ ইসবগুলের ভূসি ও ১ চা-চামচ কাঁচা লেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন পান করতে হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে ইসবগুলের ভূসি খাওয়ার নিয়ম।
কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে ইসবগুলের ভূসি খেতে হবে রাতে ঘুমানোর আগে। হাল্কা গরম দুধের সাথে মিশিয়ে ইসবগুলের ভূসি খেতে হবে। এই ভাবে খাইলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হবে পেটও পরিষ্কার থাকবে।
প্রস্রাবের সমস্যা দূর করতে
অনেকের প্রস্রাব করতে অনেক জ্বালা করে। এই সমস্যার প্রাথমিক একটা চিকিৎসা হল ইসবগুলের ভূসি পানি দিয়ে পান করা। ইসবগুলের ভূসি প্রতিদিন পানির গুড়ের সাথে পান করলে প্রস্রাবের জ্বালা কমে যাবে।
ডাইরিয়া সমস্যা দূর করতে
টক দই এর সাথে ভালো করে ইসবগুলের ভূসি মিশিয়ে খেলে ডাইরিয়া সমস্যা কমে যাবে। প্রতিদিন ২বার ৩ চামচ টক দই অ ২ চামচ ইসবগুলের ভূসি
তোকোমা কি?
তোকমা একটি কালো রঙের বীজ , তোকমা বিভিন্ন মিষ্টি জাতীয় পানিতে বা শরবত তৈরি তে ব্যবহার করা হয়। তোকমা প্রাথমিক চিকিৎসা তেও ব্যবহার হয়। এই তোকমা বীজ সাধারনত কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাসের সমস্যা, ডাইরিয়া, পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
তোকমা বীজ খাওয়ার উপকারিতা।
সাধারণত তোকোমা রান্নায় ব্যবহার হয়। তোকমার বিজ স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর। তোকমাতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, আয়রন এবং ম্যানেশিয়ামের মতো খনিজ এবং উপকারি ফ্যাটি এসিড।
- তোকমার বীজ পানি তে ভিজিয়ে রেখে কিছুক্ষণ পর দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে তেমনি পেট বেথাও দূর করে।
- তোকমার বীজ খেলে ওজন কমায়।
- দেহের তাপমাত্র কমায় ও শরীরকে ঠান্ডা রাখে।
- তোকমা পেটের এসিড নিরাময় করে।
- তোকমা খেলে শরীরের শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- তোকমা খেলে শরীরে পানি ধরে রাখে ও তৃষ্ণাত কমায় রাখে।
তোকমা খাওয়ার সঠিক নিয়ম।
প্রতিদিন রাতে তোকমা পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খাওয়া উচিত। প্রতিদিন ১ গ্লাস বা ২৫০ গ্রাম পানি তে ১ চামচ তোকমা মিশিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে চিনি ছাড়া পান করবেন। তাহলে শরীরের তাপমাত্রা ভালো থাকবে ও পেটের সমস্যা নিরাময় হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে তোকমা খাওয়ার সঠিক নিয়ম।
প্রতিদিন রাতে তোকমা পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খাওয়া উচিত। কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খাওয়া উচিত। অথবা রাতে ঘুমানোর ৩০ মিনিট আগে ভিজিয়ে রেখে ৩০ মিনিট বা ১ ঘণ্টা পর খেয়ে ঘুমিয়ে জেতে হবে।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে তোকমা খাওয়ার সঠিক নিয়ম।
প্রতিদিন রাতে পানি দিয়ে তোকমা ভিজিয়ে রেখে ৩০ মিনিট বা ১ ঘণ্টা পর খেয়ে বা ঘুমানোর আগে খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পাই। রাতে খাওয়ার পর হজম ভালো হয়।
পরিষেশে মনে রাখা দরকার যে, শরীরকে সুস্থ রাখতে বা শারীরিক ভাবে অসুস্থ হলে অনেক রকম প্রাথমিক চিকিৎসা আছে। জেমনঃপেটে গ্যাস এর সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য, পায়খানা ঠিকমতো না হলে প্রাথমিক ভাবে তোকমা ও ইসবগুলের ভূসির ভূমিকা অপরীসিম।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url