২০২৪ সালে ৬ টি অনলাইন ব্যবসার ধারনা
২০২৪ সালে ৬টি অনলাইন ব্যবসা ধারনা এই ব্লগে দেওয়া হোলো। বর্তমানে সবকিছু অনলাইন ভিত্তিক। প্রাই প্রতিটি মানুষ অনলাইন নির্ভর। কিছু মানুষ অনলাইনে ভালো কিছু করছে কেউ বা কিছুই করতে পারছে না। বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ অনলাইনে ব্যবসা করে অর্থ উপার্জন করতেছে।
তথ্য ও প্রযুক্তি যুগে অনলাইন ব্যবসা অনেক সহজ হয়ে গেছে। ইন্টারনেটের ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবসা করে অনেক মানুষ এখন অর্থ উপার্জন করতেছে। আজকের এই ব্লগটিতে আমরা অনলাইনে ব্যবসা করে অর্থ উপার্জনের উপায় নিয়ে আলোচনা করবো। ৬ টি সেরা অনলাইন ব্যবসা সম্পর্কে জানতে নীচে দেখুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ২০২৪ সালে ৬ টি অনলাইন ব্যবসার ধারনা
ভূমিকা
২০২৪ সালে ৬ টি অনলাইন ব্যবসার ধারনা
তথ্য প্রযুক্তির যুগে অনলাইন ব্যবসা অনেক সহজ হয়েছে। চাকরির আশায় বসে না থাকে অনেক মানুষ অনলাইনে ব্যবসা করে অর্থ উপার্জন করতেছে। অনলাইনের মাধ্যমে স্বল্প পুজি বা পুজি বিহীন অনেক রকম ব্যবসা করা যায়, এমন ১০ টি ব্যবসার লিস্ট নিচে আলোচনা করা হোল।
-
ফ্রিলান্সিং ব্যবসা করে অর্থ উপার্জন
-
অনলাইন পোশাক বিক্রয় ব্যবসা
-
অনলাইনে টি শার্ট ডিজাইন ব্যবসা
-
অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স বিক্রয় ব্যবসা
অনলাইন খাবার ব্যবসা
অনলাইন গিফট শপ ব্যবসা
ফ্রিলান্সিং ব্যবসা করে অর্থ উপার্জন
২০২৪ সালে ৬ টি অনলাইন ব্যবসার ধারনা মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং একটি। ফ্রিল্যান্সিং একটি স্বাধীন পেশা যে পেশায় কোন কোম্পানি অধীনে চাকরি করতে হয় না। বিভিন্ন ক্লায়েন্টের সাথে অনলাইনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে কাজ নেওয়া হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করে ক্লায়েন্ট কে জমা দিতে হয়। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং করা খুব সহজ কাজ নয় আপনাকে আগে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে জানতে হবে এবং এবং বিভিন্ন রকম দক্ষতা অর্জন করতে হবে
ব্রাউজিং জানতে হবে
গ্রাফিক্স ডিজাইন
ডাটা এন্ট্রি
ডিজিটাল মার্কেটিং
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
কপিরাইটিং
অনুবাদ
আইনি পরামর্শ
আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয় কাজ ২০২৪
এই ধরনের বিভিন্ন রকম দক্ষতা গুলো জানার পর আপনি অনলাইনে বিভিন্ন কাজ পাওয়ার
জন্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট খুলতে হবে। কাজ পাওয়ার জন্য
আপনাকে মার্কেটপ্লেসে এপ্লাই করতে হবে। তারপর বায়ার আপনার কাজের অভিজ্ঞতা
দেখে আপনার সাথে যোগাযোগ করে আপনাকে কাজটি দিবে এভাবে আস্তে আস্তে আপনি কাজ নিতে
থাকবেন এবং এক সময় আপনি অন্যদের কাজ শিখিয়ে দক্ষতা অর্জন করে করে তাদের দিয়ে
কাজ করে নিতে পারবেন। চলমান এই ধারাবাহিকতায় আপনার ফ্রিল্যান্সিং ব্যবসা।
করতে পারবেন
অনলাইন পোশাক বিক্রয় ব্যবসা
বর্তমানে এ তথ্য প্রযুক্তি যুগে ইন্টারনেট ব্যবহার করে কেনাকাটা করা অনেক সহজ হয়ে গেছে। তথ্যপ্রযুক্তি কল্যাণে আমাদের অনলাইনে কেনাকাটা করার পদ্ধতি তে এসেছে অনেক বড় পরিবর্তন। বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ব্যাপক। বিভিন্ন ধরনের ই-কমার্স ওয়েবসাইট বা ফেসবুক থেকে বিভিন্ন পণ্য অনলাইনে ক্রয় করতেছেন।
অনলাইন কাপড়ের ব্যবসা বর্তমানে অনেক জনপ্রিয়। বর্তমান অবস্থায় চাইলে আপনিও
অনলাইনে পোশাক বিক্রয় ব্যবসা করতে পারেন। বর্তমান সময়ে অনেকেই অনলাইন থেকে
পোশাক ক্রয় করে থাকেন। অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করা একজন বুদ্ধিমানের মত
একটি ব্যবসায় সিদ্ধান্ত হতে পারে।
এখন অনলাইনে কেনা বেচার বিষয়টা অনেক পরিচিতি হয়ে উঠেছে যার ফলে গ্রাহকগণ বিশ্বাসের সঙ্গে অনলাইনে কেনাকাটা করেন। এই কেনাকাটা আপনি যেকোন জায়গায় বসে করতে পারবেন। তাই অনলাইন পোশাক বিক্রয় ব্যবসা অর্থ উপার্জনের ভালো একটি মাধ্যম বর্তমানে এই পোস্টে অনলাইনে কাপড় ব্যবসার সম্পর্কে বিস্তারিত বিস্তারিত জানানো হবে।
অনলাইনের কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম
তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক অনলাইন কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম। কিভাবে ধাপে ধাপে অনলাইন ব্যবসা করতে হবে তার বিস্তারিত সকল তথ্য নিচে দেওয়া হল
কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে অবশ্য কাপড় প্রোয়োজন। আপনার আগে ঠিক করতে আপনে কোন ধরনের
কাপড় বিক্রয় করতে চান। বিভিন্ন ধরনের কাপড় বিক্রয় না করে আগে একটা নিশ বাছাই
করুন।তারপর সেই ধরনের কাপড় বিক্রয় করুন। যেহেতু কাপড় ব্যবসা আপনার মূল লক্ষ
সেহেতু আপনার কাপড় চিনতে হবে, তাই কি ধরনের কাপড় গ্রাহকের সামনে উপস্থাপন করবেন
তা আগে থেকে সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করুন।
কথায় আছে ভালো জিনিসের দাম ভালো। আপনার কাপড় বিক্রয় করার আগে জানতে হবে বাজারে বা গ্রাহকের নিকট কোন পন্যের কাপড়ের চাহিদা আছে নাকি চাহিদা সম্পন্ন পণ্য নির্ধারণ করা হবে ব্যবসার সফলতার মূল চাবিকাঠি। প্রত্যেকটি মানুষ কোন ধরনের পণ্য পছন্দ করেন তা খোঁজ করতে হবে। এছাড়াও বন্ধু বান্ধবের সাথে আলোচনা করে একটি প্রয়োজনীয় ধারনা দিতে পার।
চাহিদা সম্পন্ন পণ্য নির্ধারণ করতে হবে, ভালো ডিজাইনের পণ্য নির্ধারণ করতে হবে পণ্য নির্ধারণ করার সময় নিজের পছন্দে নির্বাচন করবেন না। বরং গ্রাহকদের চাহিদার কথা পণ্য নির্বাচন ভেবে করতে হবে। চাহিদা আছে এবং ভালো ডিজাইন এমন পণ্য নির্বাচন করতে হবে যাতে কাস্টমার কাছে সহজে আপনার ব্যান্ড পরিচিত হয়ে উঠতে পারে। কোন ব্যবসা করার সময় প্রোডাক্ট নির্বাচন করতে হলে নিজেকে ক্রেতার আসনে বসিয়ে সেই বিষয়ে প্রোডাক্ট নিয়ে ভাবতে হবে।
অনলাইন স্টোর তৈরি ও মার্কেটিং
পণ্য নির্বাচন করার পর আপনার প্রথম কাজই হবে অনলাইনে একটি স্টোর খোলা। আপনি স্টোর খুলতে পারেন ফেসবুকে বা নিজস্ব ওয়েবসাইট খুলে অর্ডার নিতে পারেন। শুরুতেই বড় ব্যবসা চিন্তা না থাকলে ফেসবুকে পেজ খোলার মাধ্যমে ব্যবসায় আরম্ভ করতে পার।
পণ্য নির্বাচন করে পেজ খুললেই আপনার পণ্য অটোমেটিক বিক্রি হবে না অনলাইন কাপড়
ব্যবসা সফল হতে হলে অবশ্যই মার্কেটিং করতে হবে। মার্কেটিং না করলে আপনার
পণ্য গাওয়ার কাছে পৌঁছাতে পারবেনা তাই মার্কেটিং এর সাথে অনলাইন কাপড়ের ব্যবসা
সফলতা অতপ্রত ভাবে জড়িয়ে আছে। অনলাইন কাপড়ের ব্যবসাম মার্কেটিং মানে ডিজিটাল
মার্কেটিং কে বোঝাই।
অনলাইন টি-শার্ট ডিজাইন ব্যবসা
প্রতিটি মানুষের পছন্দের অন্যতম একটি প্রধান উপকরণ পোশাক। সময়ের পরিবর্তনের সাথে মানুষের রুচিরও পরিবর্তন করেছে। আর এই পরিবর্তনের জন্য মানুষের মাঝে এসেছে ভিন্ন... বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাকের চাহিদা মানুষের মধ্যে আছে । যার মধ্যে টি-শার্টের ডিজাইন একটি বড় অংশ। শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলে ভালো ডিজাইনের টি-শার্ট পড়তে চান কারণ টি-শার্ট অনেক কম্ফোর্টেবল ও শান্তিময় একটি পোশাক।
সুন্দর ডিজাইনের টি-শার্ট যেকোনো মানুষ পছন্দ করেন। টি-শার্ট ডিজাইনের অনেক বড় বড় মার্কেটপ্লেসও তৈরি করা হয়। দেশি-বিদেশি ব্যান্ডের টি শার্ট ডিজাইন এর জন্য টি-শার্ট ডিজাইন চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে।অনলাইনে তাদের টি শার্ট ডিজাইন এর ২-৩টা নমুনা আপলোড করে থাকেন এবং বায়াররা তাদের কাজের নমুনা থেকে তাদেরকে টি শার্ট ডিজাইন করতে দেন।
অনলাইনে টি শার্ট ডিজাইন
অনলাইন মাধ্যমে যেভাবে টি-শার্ট ডিজাইন করবেন প্রথমে আপনাকে ফেসবুক পেজ বা নিজস্ব
ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে হবে অথবা আপনাকে মার্কেটপ্লেসে যেমন
ফাইবার,আপওয়ার্ক,ফ্রিল্যান্সিং ডট কম, ইত্যাদি মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট করতে হবে
এবং আপনাকে টি-শার্ট ডিজাইন এর ওপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আপনি যদি ভাল মানের
টি-শার্ট ডিজাইন করতে না পারেন তাহলে বায়ার আপনাকে টি-শার্ট ডিজাইন এর কাজ দিবেন
না তাই আপনাকে টি শার্ট ডিজাইন সম্পর্কে বা টি-শার্ট ডিজাইন করতে পারার দক্ষতা
অর্জন করতে হব। আপনার তৈরিকৃত টি-শার্ট এর নমুনা আপলোড করে রাখতে হবে যাতে বায়ার
বোঝে আপনি ভালো মানের টি-শার্ট ডিজাইনার।
আপনার টি-শার্ট ডিজাইন কাজ যদি ভাল হয় তাহলে বায়ার আপনাকে বিভিন্ন ব্রান্ডের টি শার্ট ডিজাইন করতে দিবেন। আপনি টি-শার্টগুলো ডিজাইন করে তাদের প্রেরণ করবেন। এভাবে আপনার কাজের গতি বৃদ্ধি পাবে প্রতিনিয়ত আপনি কাজ পেতে থাকবেন। এক সময় আপনি কিছু সংখ্যক টি-শার্ট ডিজাইনারদের নিয়োগ দিয়ে আপনের অধীনে কাজ করার সুযোগ দিবেন ।এভাবে আপনি একটি টি-শার্ট ডিজাইনার ব্যবসায়ী হিসেবে মার্কেটপ্লেসে পুনাম অর্জন করবেন।
অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স বিক্রয় ব্যবসা
বর্তমান সময়ে সবাই অনলাইনে তথ্য প্রদান করতে আগ্রহ প্রকাশ করতেছে কেউ ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ উপার্জন করতে চাই কেউ অনলাইনে বিভিন্ন রকম ব্যবসা করে অর্থ বর্জন করতে চাই কিন্তু আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি অনলাইনে আসিফ অর্থ উপার্জন এর একটি প্রক্রিয়া অনলাইন কোর্স অনলাইন কোর্স একটি শিক্ষামূলক ধারণা ব্যবহার করে প্রদান করা হয় অনলাইন কোর্সেগুলোতে শিক্ষক শিক্ষার্থী সমগ্র সভায় ইন্টারনেটে অবস্থিত অনলাইনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তারা একে অপরের যোগাযোগ স্থাপন করেন এবং শিক্ষক তা শিক্ষার্থীদের সুবিধামতো সময় দিতে পারেন এবং শিক্ষার্থীর যেকোন অবস্থা এবং যেকোন স্থান থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
অনলাইন কোর্স বিভিন্ন ধরনের হতে পারেন যেমন
লাইভ অনলাইন কোর্সঃ
রেকর্ডেড অনলাইন কোর্সঃ
ম্যাশআপ অনলাইন কোর্সঃ
অনলাইন কোর্স কিভাবে তৈরি করবেন
অনলাইন কোর্স অনেক কঠিন হলেও এর ফলাফল ভালো হতে পারে। একটি ভালো অনলাইন কোর্স তৈরি করতে পারলে সেখান থেকে আপনি ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।আপনি কি বিষয়ে অনলাইনে কোর্স করাতে চান বা অন্যদের কি শিখাতে চান সে বিষয়ে আপনার প্রয়োজন দক্ষতা অভিজ্ঞ থাকতে হবে
আপনি কাদের অনলাইন কোর্স করাতে চান। তাদের নির্বাচন করুন, তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কি বা তারা পেশায় কি করেন। আপনি যাদের কোর্স করতে চাচ্ছেন তাদের মনোভাব আপনাকে ভালোভাবে বুঝতে হবে। তাহলে আপনার কোর্স তাদের জন্য আরও প্রয়োজনও করে হয়ে উঠবে।
আপনার কোর্স ধারাবাহিকভাবে সাজাতে হবে। কোর্সতে কোন কোন বিষয়ে রাখবেন সেগুলোই কিভাবে সাজাবেন তার একটি সুনির্দিষ্ট গঠন ও কাঠামো তৈরি করতে হবে তাহলে শিক্ষার্থীর জন্য সেটা সুবিধা জনক হবে।
আপনি এবার সামগ্রী একটি কোর্স তৈরি করুন অর্থাৎ আপনার কোর্স সম্পর্কে ভিডিও তৈরি করুন অথবা আপনি যদি লাইভ কোর্স করতে চান তাহলে তাদের অনলাইনে অংশগ্রহণ করে সঠিকভাবে বোঝাতে হবে। আপনি আপনার কোর্স সঠিকভাবে প্রচার করুন। আপনি আপনার কোর্স যত বেশি প্রচার করবেন তত বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হবেন। এতে বেশিভাগ শিক্ষার্থী আপনার কাছে শিখতে আসবে আপনার কোর্সটির জন্য আপনি মার্কেটিং করতে পারেন যাকে আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং করি।
অনলাইন খাবার ব্যবসা
অনলাইন ব্যবসা গুলোর মধ্যে আরও একটি জনপ্রিয় ব্যবসা খাবারের ব্যবসা। আপনার যদি
ভাল রাঁধুনী হতে পারেন তাহলে আপনি অনলাইনে মাধ্যমে খাবার বিক্রি করতে পারবেন।
প্রতি মানুষ দিন দিন অনলাইন ভিত্তিক হয়ে পড়ছ। অনলাইনে খাবার অর্ডার করে তারা
খেতে পছন্দ করেন। অনলাইনে পছন্দমতো খাবার ঘরে বসে অর্ডার করতেছেন। এতে
তাদের যেমন সময় বেঁচে যাচ্ছে তেমনি দোকানে গিয়ে খাবার কিনতে হচ্ছে না।
যদি অনলাইনে নতুন ব্যবসা শুরু করতে চান এবং আপনি খাবার রান্না করতে পারেন এবং ভালো স্কিল থাকে তাহলে সময় নষ্ট না করে শুরু করে দিন অনলাইন খাবারের ব্যবসা। সুস্বাদু ও ভালো মানের খাবার সরবরাহ করতে পারলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনার খাবারের ব্যবসা ভালো ফলাফল পেতে পারেন।
যেভাবে খাবার ব্যবসা শুরু করবেন
আপনার যদি খাবার রান্না করতে পারেন তাহলে নিজের রান্না ঘরেই খাবার রান্না করুন। অল্প পরিমান রান্না করুন নিজের পরিবারের ও বন্ধুবান্ধবদের তা টেস্ট করতে দিন এবং মতামত গ্রহণ করুন। তাদের মতামত যদি ভালো হয় তাহলে প্রথম দিনেই খাবার বিক্রয় শুরু করুন এবং মন্তব্য নিন। খাবারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বিক্রয়ের পরিম। আপনি কাছের মানুষদের দিয়েই খাবারের ব্যবসা শুরু করুন। বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজন বা প্রতিবেশীদের কাছে আপনার রান্না করা খাবার বিক্রয় করুন এবং আলোচনা করুন। সৎ মন্তব্য জানতে চান যখন মনে হবে মানুষ আপনার রান্না করা খাবার পছন্দ করতেছে তখন আপনি শুরু করে দিন আনলাইন খাবার ব্যবসা। একটি সোশ্যাল মিডিয়া বিজনেস পেজ খুলুন এবং যত বেশি সম্ভব অপরিচিত মানুষের কাছে আপনার খাবার পৌঁছে দিন যারা আপনার খাবার কিনতেছে তাদের ডেটা সংগ্রহ করুন google ব্যবহার করে তাদের নিয়ে একটি সার্ভে তৈরি করুন। যারা খাবার ক্রয় করতেছে তাদেরকে এই সার্ভে ফর্মটি পাঠিয়ে দিন তাতে তাদের ফিডব্যাক পাবেন। সেই ফিডব্যাক অনুযায়ী খাবারের মান আরো উন্নত করতে পারবেন। ফিডব্যাকটি মূল্যায়ন করুন ফিডব্যাক নিজের মতো না নিয়ে সবার কাছ থেকে মতামত সংগ্রহ কর। এতে আপনি বুঝতে পারবেন যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে তা পরিবর্তন করে নিন।
ব্যবসা সফল হতে হলে এমন খাবার তৈরি করতে হবে যা সবাই পছন্দ করে সবার
মতামতের ভিত্তিতে আপনার খাবার আরো ভালোভাবে তৈরি করতে হবে। কাস্টমার দের কে নমুনা
পাঠাতে হবে ও তাদের মতামত জানতে হবে। তাদের মতামত অনুযায়ী খাবারে স্বাদ কম থাকলে
বা ভালো রান্না না হলে তা আপনি সমাধান করতে পারবেন।
নতুন উদ্যাক্তা থাকলে তাদের কাছ থেকে শেখার জন্য বিভিন্ন খাবারের প্রোগ্রাম বা ইভেন্টে অংশগ্রহণ করতে হবে। শুরু থেকে এই খাবার বিক্রয় মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ একসময় আপনার নিজের কমিটি তৈরি করে ফেলুন। ব্যবসার প্রচারের জন্য ফেসবুক ইন্সট্রাগ্রাম বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করুন। পেজে যেসব ফলোয়ার আছে তাদের সাথে প্রতিদিন খাবারের ছবি ও আপনারা ব্যবসার নিত্য নতুন খাবার আইটেম ইত্যাদি শেয়ার করুন। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রতিদিন আপনার রান্না করা খাবার শেয়ার করুন।যাতে মানুষ আপনার খাবার ক্রয় করে এই ধারাবাহিকভাবে কাজ করলে আপনি অনেক জলদি অনলাইন খাবারের ব্যবসায় সাফল্যের মুখ দেখবেন। তাই দেরি না করে যদি ভাল রান্না করতে পারেন তাহলে শুরু করে দিন অনলাইন খাবারের ব্যবসা।
অনলাইন গিফট শপ ব্যবসা
অনলাইন ব্যবসা গুলোর মধ্যে আরও একটি জনপ্রিয় ব্যবসা অনলাইন গিফট শপ। গিফট পেতে যেকোন মানুষ পছন্দ করে এবং অনেক মানুষ আছে তার প্রিয় মানুষদের বিভিন্ন রকম সারপ্রাইজিং গিফট দিতে চাই। বিভিন্ন ইভেন্টে মানুষ তাদের প্রিয় মানুষকে গিফট দিতে পছন্দ করেন। ছোট বড় বিভিন্ন উৎসবে মানুষ গিফট নিতে পছন্দ করেন কিন্তু অনেক সময় ঠিক করতে পারেন না কি গিফট দিতে হবে তাই তাদের পছন্দের উপর ভিত্তি করে আপনি একটি গিফট শফ দিতে পারেন। গিফট শপের দোকান অনলাইনে আবার অফলাইনে দুইভাবেই দেওয়া যায়।
আপনি এর পুঁজি যদি স্বল্প পরিমাণ থাকে তাহলে আপনি অনলাইনে গিফট সব দিতে পারেন এবং বিভিন্ন প্যাকেজের গিফট রাখতে পারেন ২০০,৩০০,৫০০,১০০০ ইত্যাদি টাকার ভিতরে বিভিন্ন রকম গিফট প্যাকেজ রাখতে পারেন। মানুষ তার পছন্দ মতো গিফট পছন্দ করে তা কিনবেন। বর্তমান সবকিছুই অনলাইন ভিত্তিক। তাই অনলাইন এই শপ অনেক ভালো চলবে।
অনলাইনে যেভাবে গিফট সব দিবেন
আপনি প্রথমে একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করুন কিভাবে আপনি গিফট শপ চালিত করবেন অর্থাৎ আপনি আপনার গিফট শপে কোন ধরনের আইটেম রাখতে চাচ্ছেন গ্রাহকদের সেটা পছন্দ হবে কিনা তাদের দামের ভীতর কিনতে পারবে কিনা ইত্যাদি বিষয়ের পরিকল্পনা গ্রহণ করুন। গ্রাহকদের দরপত্র ও আনুমানিক বিষয়ে উপার্জনের উপর ভিত্তি করে একটি ব্যবসা পরিকল্পনা তৈরি করুন পণ্য আদান প্রদান মূল্য পদ্ধতি ইত্যাদি কিভাবে পরিচালনা করবেন তার একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করুন
আপনার গিফট শপে আপনি কি কি আইটেম রাখবেন বা বিক্রয় করবেন তার একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করুন আপনি যেমন রাখতে পারবেন শাড়ি,গহনা,চুড়ি,টিপ,শার্ট,চকলেট,ঘড়ি,পারফিউম,বেসলেট বার্থডে কার্ড আর ইত্যাদি বিষয় আপনি চিন্তা ভাবনা করে রাখতে পারেন। আপনের গিফট আইটেম গুলো যদি ভালো না হয় তাহলে গ্রাহক পছন্দ করবে না। তাই গ্রাহকের পছন্দ হবে তাদের চাহিদার উপর ভিত্তি করে আপনাকে গিফট আইটেম গুলো সাজাতে হবে এবং সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা গ্রহন করতে হবে।
আপনাকে ফেইসবুক একটা পেজ বানিয়ে নিতে হবে। তারপর আপনে সেই পেজে বিভিন্ন রকম গিফটের নমুনা পোষ্ট করবেন। আপনি বিভিন্ন রকম প্যাকেজের গিফট রাখতে পারেন আপনার ফেসবুক পেজে ফলোয়ার বাড়াতে হবে এর জন্য আপনাকে এ সি ও করাতে হবে আপনার পোস্টগুলো বুস্ট করতে হবে। যাতে অনলাইন ব্যবহারকারি সবার কাছে আপনার গিফট এর আইটেম গুলো পৌছে যাই। ব্যবসার প্রচারের জন্য ফেসবুক ইন্সট্রাগ্রাম বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করুন। আপনে প্রথম দিন থেকেই বিক্রয় শুরু করে দিন এবং যাদের কাছে বিক্রয় করছেন তাদের কাছ থেকে মন্তব্য নিন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url